জঙ্গী নয়, ভারতের দুশ্চিন্তা জাল নোট
যমুনা ডেস্ক : বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে বিভিন্ন ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন তাদের জঙ্গী কার্যক্রম চালায় বলে ভারতের দীর্ঘদিনের যে অভিযোগ–সেই পরিস্থিতির এখন অনেক উন্নতি হয়েছে বলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিজেরাই স্বীকার করছে।
ঢাকাতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে এ কথা বাংলাদেশকে জানানোও হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার ।
বিবিসি জানায়, সীমান্ত এলাকার অপরাধ বা জাল নোটের চোরাকারবার ভারতকে এখন নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলছে – ফলে ঢাকার বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে সে বিষয়গুলোর ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লিতে বিএসএফের আইজি বা মহাপরিদর্শক অশোক কুমার বিবিসিকে বলেন, “সাম্প্রতিক অতীতে এই জঙ্গী তৎপরতার বিষয়টি বরাবরই আমাদের জন্য বড় ইস্যু ছিল। এখনও আছে, কিন্তু পরিস্থিতির এখন উন্নতি হয়েছে।”
বিএসএফের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আরও জানাচ্ছেন, মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ কীভাবে ঠেকানো যায়, ভারত সে বিষয়েই আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছে।
বিএসএফের এই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা আরও জানাচ্ছেন, মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে সীমান্ত এলাকায় নানা ধরনের অপরাধ কীভাবে ঠেকানো যায়, ভারত সে বিষয়েই আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “আন্ত:সীমান্ত অপরাধ, জাল নোটের চোরাকারবার কিংবা নারী ও শিশু পাচার রোধের বিষয়ে যেমন আমরা কথা বলব, তেমনি আলোচনা হবে সমন্বিত যৌথ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা নিয়েও। পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ বা সিবিএম নিয়েও কথাবার্তা হবে।”
দুই বাহিনীর মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু পজিটিভ ভাবনা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ চলছে – যার একটা হল পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে রিট্রিট চালু করা, যে ধরনের দর্শনীয় কুচকাওয়াজের রেওয়াজ চালু আছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ওয়াগাতে।
২রা অক্টোবর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও একই ধরনের জিনিস চালু হওয়ার কথা – তার রূপরেখা সম্ভবত চূড়ান্ত হবে ঢাকার চলতি বৈঠকেই। কিন্তু সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশী নাগরিকদের হত্যার যে লাগাতার অভিযোগ ক্রমাগত পারস্পরিক আস্থায় চিড় ধরাচ্ছে ।
এ বিষয়ে আই জি অশোক শর্মা দাবি করছেন, বিএসএফ যে অ্যাকশন নেয় – সেটা আত্মরক্ষার্থেই নেয়।বিএসএফ সদস্যরা নন-লিথাল, অর্থাৎ প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার শুরু করার পর সীমান্তে যে প্রাণহানি অনেক কমে এসেছে – সে কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
কিন্তু বিএসএফের এই যুক্তি পারস্পরিক অবিশ্বাস কতটা দূর করতে পারছে, সেটা বোধহয় বুধবার মহাপরিচালকদের বৈঠক শেষ হওয়ার পরই বোঝা যাবে ।
Popular Bangladeshi online newspaper jamunanews24.com , online newspaper and website design by pqsit.com
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন