পোশাকশিল্পে বিশ্বে সর্বোচ্চ স্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ - See more at: http://jamunanews24.com/index.php/crime-view/39996-2013-09-17-04-25-15.html#sthash.BKdKmOqB.dpufPopular Bangladeshi online newspaper jamunanews24.com , online newspaper and website design by pqsit.com
গত ডিসেম্বর এবং এপ্রিলে দেশের পোশাকশিল্পে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা বহির্বিশ্বে ভাবমুর্তির সংকট তৈরি করেছে।এ নিয়ে শত সমালোচনা পর্যালোচনা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনো বিশ্বে তৈরি পোশাক উৎপাদনে শীর্ষ পর্যায়ে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ যে পোশাক তৈরিতে এখনো বিশ্বে সর্বোচ্চ স্থান ধরে রেখেছে তা স্বীকার করে নিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনের শিরোনামে বলা হয়, বাংলাদেশ গার্মেন্ট শিল্পে কাজ আরো বড়ার আশা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নতুন এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে আসছে বছরগুলোতে অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বাংলাদেশের গার্মেন্ট কারখানাগুলোর সঙ্গেই বেশি কাজ করতে আগ্রহী রিটেইলাররা। যদিও সাম্প্রতিক দুটি কারখানায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা বাংলাদেশের ভাবমুর্তিকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছে।
সম্প্রতি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ম্যাককিনসে অ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃক এক নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, ভবিষ্যতে এই শিল্পে প্রতিদ্বন্দি ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার চেয়ে বাংলাদেশে ২০ বিলিয়ন ডলার বেশি ব্যবসা করবে। ম্যাককিনসের জার্মানি শাখার পার্টনার অ্যাকহিম বার্গ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখনো এক নম্বর অবস্থানে আছে।কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাবলি সবার সামনে একটি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে কিন্তু উৎপাদনের ভলিউম বাড়ানোর জন্য আসলে কোনো বিকল্প নেই।’
নতুন গবেষণায় আরো দেখা গেছে, পোশাকের উৎস খুঁজতে গিয়ে রিটেইলারদের কাছে শ্রমিক ও তাদের নিরাপত্তার চেয়ে বেশি প্রধান হয়ে দাঁড়ায় উৎপাদন ক্ষমতা ও তুলনামূলক দাম। এর মধ্যে অন্যান্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে শিল্প দুর্যোগ বেশি। কিন্তু ন্যুনতম মজুরি এবং কারখানার আধিক্যর কারণে বৈশ্বিক রিটেইলারদের কাছে বাংলাদেশ রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থানে।
তাই দেখা গেছে, রিটেইলারদের মধ্যে হ্যানস অ্যান্ড মরিটজ এবি, ওয়াল মার্ট, গ্যাপ, জিপিএস এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বুঝেছে বাংলাদেশের কারখানাগুলোর সমস্যার পেছনে তাদের ভূমিকা কী হওয়া উচিৎ মানুষ তা উপলগ্ধি করেছে। কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত না করায় এখন শ্রমিক ইউনিয়নগুলোওিএসব রিটেইলারদের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলছে। তাই তাদের চাপে দেশের কারখানাগুলো তাদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিয়েছে যা উভয়পক্ষেরই ইমেজ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করছে।
তাই ভবিষ্যতে এসব বিখ্যাত পোশাক নির্মাতারা বা বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে আছে চীন। এই খাত থেকে দেশটি প্রতি বছর ১৫০ বিলিয়ন ডলার আয় করে থাকে। কিন্তু দেশটিতে শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি মাসিক ৩৯ মার্কিন ডলার, যা ক্রমান্বয়ে আরো বাড়ছে। তাই এক জরিপে দেখা গেছে আগামী পাঁচ বছরে চীন থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ পোশাক নির্মান প্রতিষ্ঠানই সড়ে যেতে পারে। বর্তমানে এই তালিকায় ইতালির সঙ্গে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের কারখানাগুলোর বর্তমান অবস্থান ভিন্ন। গত এপ্রিলে রানা প্লাজা ধ্বসের পর ধারণা করা হয়েছিল যে এই শিল্পে হয়তো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ওয়াল্ট ডিজনির মতো বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানি নিজেদের অর্ডার প্রত্যাহার করে নিলে এই আশঙ্কা আরো বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দেশটি এখন ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে।
তবে বর্তমানে রিটেইলারদের কারখানাগুলোর নিরাপত্তা ইস্যু ও শ্রমিক অসন্তোষের মতো বিষয়কেও মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তারওপর জাতীয় নির্বাচনের আগে আসছে মাসগুলোতে হরতালের মতো কারণে উৎপাদন এবং ডেলিভারি ব্যহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তারা। যদিও সরকার শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি বাড়ানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তারপরও রিটেইলাররা মনে করছে, বিশ্বের মোট পোশাক উৎপাদনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশি দুটি দেশই এগিয়ে যাক। বর্তমানে পোশাক রপ্তানিতে বিশ্ব তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার।
jamunanews24.com/sk/17 sep.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন